Explore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
টেগর লজ বা কুষ্টিয়া কুঠিবাড়িটি কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত। লালনের মাজার থেকে অটোতে করে চলে গিয়েছিলাম সেখানে। কোনো প্রবেশমূল্য নেই।
প্রবেশপথে রবীন্দ্রনাথ এর একটি আবক্ষমূর্তি রয়েছে। দোতলা এই ভবনটি ১৮৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়। রবীন্দ্রনাথ প্রথমে শিলাইদহে টেগর এন্ড কোম্পানি গড়ে তোলেন৷ ব্যবসায়িক সুবিধার্থে প্রথম বছরেই শিলাইদহ থেকে কুষ্টিয়া শহরে ব্যবসা স্থানান্তর করা হয় এবং এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
নয় কাঠা জমির ওপর নির্মিত এই বাড়িতে রয়েছে হল ঘর, কবির রচিত গ্রন্থমালা, তাঁর আঁকা ছবির অনুকৃতি ইত্যাদি। দোতলায় ওঠার জন্য আছে প্যাঁচানো লোহার সিঁড়ি।
এখানে বসে রবীন্দ্রনাথ অনেক কবিতা লিখেছেন, যা 'ক্ষণিকা' এবং 'কথা ও কাহিনী' তে প্রকাশিত হয়েছে।
ঢাকায় বাসার ছাদ থেকে নিজের তৈরি এবং ডিজাইন করা টেলিস্কোপ দিয়ে ওরিওন নেবুলার এই ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন৷
কিছুদিন পূর্বেই কক্সবাজারে C/2023 A3 নামক ধমুকেতুর ছবি তুলে বেশ সাড়া ফেলিছিলেন তিনি। এবার নিজের বাসার ছাদ থেকেই ঢাকার মত আলোক দূষণ যুক্ত এলাকায় তুললেন ওরিয়ন নেবুলার ছবি৷ ২৮ অক্টোবর রাতে তোলা এই ছবি তোলার ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন ৯০০ মিলিমিটার ফোকাল লেন্থ এবং এফ ৮.৮ অ্যাপারচার বিশিষ্ট টেলিস্কোপ। মোট ৪.৫ ঘন্টা সময় নিয়ে তিনি এই ছবিটি তুলেছেন। এছাড়া ব্যবহার করেছেন QHY268 মডেলের এস্ট্রোনমি ক্যামেরা।
বিদেশে অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি বেশ জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে টেলিস্কোপ, ক্যামেরা এবং ট্রাকার বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণত তেমন ডিটেইলড এস্ট্রোফটোগ্রাফির কাজ দেখা যায় না বললেই চলে। অথচ এগুলো হাতের নাগালে থাকলে বেশ সহজেই তোলা যেত বিভিন্ন এস্ট্রোফটোগ্রাফ।
উল্লেখ্য যে, ওরিয়ন নেবুলা পৃথিবী থেকে মাত্র ১৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। নেবুলা (Nebula) হলো মহাবিশ্বের এক ধরনের মহাজাগতিক মেঘ, যা ধূলিকণা, হাইড্রোজেন, হেলিয়াম গ্যাস এবং অন্যান্য আয়নিত গ্যাস দ্বারা গঠিত। একে তারা বা নক্ষত্র জন্ম নেওয়ার স্থানও বলা যেতে পারে! ওরিয়ন নেবুলা পৃথিবীর নিকটবর্তী সবচেয়ে বড় নেবুলা৷ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে খালি চোখেই এটি দেখা যায়। বিশেষ করে জানুয়ারি মাসে এটি দেখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। ১৮৮০ সালে সর্বপ্রথম এই নেবুলাটির ছবি তোলা হয়!
হাবল টেলিস্কোপের এই অসাধারণ ছবিতে দেখা যাচ্ছে NGC 972 নামের এক দূরবর্তী সর্পিল গ্যালাক্সি, যা আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্যালাক্সির বিভিন্ন অংশে কমলা-গোলাপি রঙের আভা দেখা যায়, যা তারাদের জন্মের সংকেত বহন করে। এই রঙ মূলত হাইড্রোজেন গ্যাসের সঙ্গে নতুন তারাদের বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয়, যেন এক মহাজাগতিক বাগান।
এই অনিন্দ্যসুন্দর গ্যালাক্সির মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বের বিস্ময়কর বিবর্তন ও তারাদের গঠন প্রক্রিয়ার ঝলক দেখতে পাই।
০,৬০০টি আয়না একটি চেম্বারের দিকে তাক করা। কালো চেম্বার। আলো থেকে প্রায় সম্পূর্ণ তাপ শোষণ করে। সেই তাপে গলে যায় ভেতরে থাকা লবণ। গলিত লবণ ঘুরায় টারবাইন। তৈরি হয় বিদ্যুৎ। এই ধরণের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রকে বলা হয় CSP বা কনসেনট্রেটেড সোলার পাওয়ার প্লান্ট। সহজ পদার্থবিজ্ঞান।
চিলির আতাকামা মরুভূমিতে বসানো হয়েছে এমন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এভাবে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে বলে 'ক্লিন এনার্জি'। ২০৩০ সালের মধ্যে চিলির ৬০ ভাগ বিদ্যুৎ আসবে ক্লিন এনার্জি থেকে। এই পদ্ধতি সৌরবিদ্যুৎ-এর তুলনায় বেশি পরিবেশবান্ধব ও কম খরচের।