Discover posts

Explore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations

আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন পূর্বসূরিদের মতো শ্রমিক না হই, আমাদেরকেও যেন মাটির ঘরে থাকতে না হয়, আমরা যেন পাকা ঘরে থাকি, যেন পেট পুরে তিনবেলা খেতে পাই। বাবারা আমাদেরকে নিয়ে বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে করে গ্রাম ছাড়লেন, মফস্বলে এনে পড়াশোনা করালেন, টিনশেড ঘরে রাখলেন। আমরা পড়াশোনা করলাম, মফস্বল ছাড়লাম, উচ্চশিক্ষার্থে মহানগরে এলাম, স্নাতক হলাম, স্নাতকোত্তর হলাম; পূর্বপুরুষদের বিশাল বাড়ি ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নামক কংক্রিটের বস্তিতে উঠলাম, কায়িক পরিশ্রম থেকে মুক্ত হলাম, বুদ্ধিবৃত্তিক কাজকর্ম (আসলে কেরানিগিরি) করে জীবিকা নির্বাহ করা শুরু করলাম, পোশাকে-আশাকে ফিরিঙ্গিদের মতো ফিটফাট হলাম, শরীরে-মনে আভিজাত্য এল। আমাদের পা আক্ষরিক অর্থেই আর মাটিতে পড়ল না, গা আর বৃষ্টিতে ভিজল না। আমরা মাটির ঊর্ধ্বে উঠে গেলাম, বৃষ্টির ঊর্ধ্বে চলে গেলাম। সর্বোচ্চ স্মৃতিশক্তি প্রয়োগ করেও আমরা মনে করতে পারি না— আমরা সর্বশেষ কবে মাটিতে হেঁটেছিলাম, বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম বা ঘাসের ছোঁয়া পেয়েছিলাম। এমনকি, নিজের কেনা অ্যাপার্টমেন্টের ছাদের চাবিও আমাদের কাছে থাকছে না, আমাদের মিলছে না নিজের মালিকানাধীন ভবনেরও ছাদে যাওয়ার অবাধ সুযোগ। মানুষ চাঁদে যাচ্ছে, আমরা পারছি না ছাদেও যেতে।

image

প্রকৃতির খুব কাছাকাছি সারাদিন।
লোকেশন ইতালি,বগুড়া

image

জালালউদ্দিন রুমি একবার একটা বনের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বড় কালো তিতির পাখি ধরে ফেলেন। রুমি যখন ভাবছেন যে, পাখিটাকে কীভাবে খাবেন; আগুনে ঝলসে; নাকি তরকারি রান্না করে!
এমন সময় পাখিটি বলে ওঠে— ‘রুমী তুমি তোমার এই জীবনে এতো গোশত খেয়েছো; অথচ তোমার এই আমিষের আকুতি শেষ হয়না। তুমি যদি আমাকে মুক্ত করে দাও; আমি তোমাকে তিনটি পরামর্শ দেবো; যা তোমার জীবনকে সন্তোষ আর শান্তিতে ভরে দেবে।’
রুমি কিছুটা বিচলিত হয়ে বলেন— “আমার হাতে বসেই প্রথম পরামর্শটা দাও; যদি পছন্দ না হয়; সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করবো তোমাকে।”
পাখিটি রাজি হয়ে বলল— ‘তুমি সব সময় তোমার বন্ধুদের উদ্ভট সব আলোচনায় বিচলিত হয়ে পড়ো। এর চেয়ে তাদেরকে তাদের মতো থাকতে দাও। তাতে তোমার জীবন শ্রেয়তর হবে।’
রুমি কিছুটা চিন্তা করে নিয়ে ভাবতে থাকেন; পাখিটার কথায় বোধ আছে। সুতরাং দ্বিতীয় পরামর্শ দিতে বলেন।
পাখি বলে— ‘তুমি আমায় ছেড়ে দিলে ওই গাছের ডালে বসে দ্বিতীয় পরামর্শটা দেবো।’
রুমি তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পাখিটিকে ছেড়ে দেন; আর পাখি গিয়ে কাছেই একটি গাছের ডালে বসে।
পাখিটা এবার তার দ্বিতীয় পরামর্শের কথা বলে— ‘রুমী অতীতকে কখনো পালটানো যায় না। সুতরাং বর্তমান মুহূর্তটিকে উপভোগ করো। আর ভবিষ্যতের জন্য বাঁচো। যা হোক বড় বোকামি করেছো তুমি। আমার পেটের মধ্যে তিন কেজি হীরা আছে। তুমি এটা পেলে তোমার তিনপুরুষ বসে খেতে পারতে।’

image

পাবনা রেল স্টেশন থেকে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা যায়

image

একজন আর্টিস্ট হিসেবে আমার অক্টোবর 🍂🍁
সম্পূর্ণ পেইন্টিংটি প্যাস্টেল কালার দিয়ে করা❤️
ইংরেজি বছরের মাস গুলোর মাঝে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি আমার অনেক ভালো লাগে। প্রকৃতিটা একদম অন্যরকম সুন্দর হয়ে সাজে।
আর এ সময়ের ম্যাপল লিফ আমার খুবই পছন্দের, যদিও আমাদের দেশে নেই। ইশ যদি নিজ হাতে ছুয়ে দেখতে পারতাম। আমার রবের সৃষ্টি কতই না সুন্দর সুবহানাল্লাহ ❤️
আর আমি সেই রবের বান্দী হয়ে না পাওয়া কিছু রুপ দেই ছবি আকার মাধ্যমে, আলহামদুলিল্লাহ 🍁🍂
একবার হলেও এ পাতার দেশে যেতে চাই। ইং শা আল্লাহ একদিন পূর্নতা পাবে

image

দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য চলে যেতো ভারতের কাছে। এতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে দেশটি হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও ছিলো হুমকির মুখে। কয়েক যুগ পর অবশেষে নতুন রাডার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসেব নিকেষ। ছবি : প্রতিকী, সূত্রঃ একুশে টেলিভিশন

image

image

ফিলিস্তিনের ৫০০০বছর পূর্বের একটা জয়তুন গাছ। ইতিহাস-ঐতিহ্য আজ মাটির সাথে মিশে গেলো

image

আবিষ্কৃত লম্বায় ২৫ তলা বাড়ির সমান একটা গাছ আমাজনে!
অবশেষে সন্ধান মিলল পৃথিবীর সবচেয়ে
উঁচু গাছের। তিন বছরের পরিকল্পনা, ৫টি
অভিযান, ঘন জঙ্গলের মধ্যদিয়ে টানা দুই
সপ্তাহ ট্রেক করার পর অবশেষে দেখা
মিললো দৈত্যাকার গাছটিকে আমাজনে।
অ্যাঞ্জেলিম ভারমেলো প্রজাতির এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ডিনিজিয়া এক্সেলসা। ২৯০ ফুট উচ্চতার এই গাছটির বয়স নেহাত কম নয়। প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো রাক্ষুসে চেহারার এই গাছ দৈর্ঘ্যে একটা ২৫ তলা বাড়ির সমান। গবেষকদের মতে, এখনো পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া আমাজন জঙ্গলের সর্ববৃহৎ গাছ এই অ্যাঞ্জেলিম ভারমেলো (Giant Tree)। উত্তর ব্রাজিলের ইরাতাপুরু রিভার নেচার রিজার্ভের ছাউনির কাছে অবস্থিত দৈত্যাকার এই গাছটির কাণ্ডের পরিধি ৯.৯ মিটার

image

এক সময় "রাজশাহী" বানান ছিলো, " রাজসাহী।
১৯২৯ সালে রেলপথ স্থাপনের সময় বর্তমান রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের নাম দেওয়া হয় রামপুর-বোয়ালিয়া স্টেশন। এর পরপরই আবার স্টেশনের নাম 'রাজসাহী' লেখা হয়। ১৯৪৭ সালের পর স্টেশনের নাম বর্তমান বানানে 'রাজশাহী' লেখা হয়।
- সূত্র প্রথম আলো

image