রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ বিষয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে, কিন্তু এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় দেশের অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, এবং পরিবেশের ওপর বড় ধরনের চাপ পড়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে মানবিক সহায়তা আসলেও, এ সংকটের স্থায়ী সমাধান মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মধ্যেই নিহিত। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এবং সুষ্ঠু পুনর্বাসন নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে গেছে। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা সংকট এবং অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
এই জটিল সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থন এবং মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কার্যকর উদ্যোগ।
তাজিংডং (বিজয় নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি পর্বতশৃঙ্গ। সরকারিভাবে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত। সরকারি হিসেবে তাজিংডং পর্বতের উচ্চতা ১,২৮০ মিটার (৪২০০ ফুট) হলেও এর প্রকৃত উচ্চতা ৭৯০ মিটার । পূর্বে কেওক্রাডংকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মনে করা হত, আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারী গবেষণায় সাকা হাফং পর্বতকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দাবী করা হয়, তবে এটি এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়।
অখণ্ড ভারত বিভক্ত করে ভারত এবং পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লগ্নে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে র্যাডক্লিফ মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ডে থেকে যায় অন্য দেশের অংশ। এতে এক অসহনীয় মানবিক সমস্যার উদ্ভব হয় । ১৬২ টি ছিটমহল ছিল দুই প্রতিবেশী দেশে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ছিল ভারতের অভ্যন্তরে। এসব ছিটমহলে বসবাসকারী জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫১ হাজার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহলে বসবাসরত লোকসংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ছিল ১৪ হাজার।২৪ হাজার ২৬৮ একর ভূমি নিয়ে দুই দেশের ছিটমহল ছিল। তার মধ্যে ভারতের জমির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ১৫৮ একর। বাংলাদেশের ছিটমহলের জমির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ১১০ একর।[১৭] ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এসবের মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯ টি, পঞ্চগড়ে ৩৬ টি, কুড়িগ্রামে ১২ টি ও নীলফামারিতে ৪ টি ভারতীয় ছিটমহল ছিল। অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এর মধ্যে ৪৭টি কোচবিহার ও ৪ টি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত ছিল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের স্থান
বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের স্থানটি হলো বাংলাবান্ধা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর, যা ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করে1। বাংলাবান্ধা পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত2।
প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
ভৌগোলিক অবস্থান: বাংলাবান্ধা বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের বিন্দু হিসেবে পরিচিত। এটি পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত2.বাণিজ্যিক গুরুত্ব: বাংলাবান্ধা একটি প্রধান স্থলবন্দর, যা ভারত, নেপাল এবং ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করে। এই স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে1.প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পঞ্চগড় জেলা তার চা বাগান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। বাংলাবান্ধা থেকে হিমালয়ের দৃশ্যও দেখা যায়, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে2.সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: এই অঞ্চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে, যা বাংলাবান্ধার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে2.
Nafis Iqbal
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Ziaul Haque
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Fahim Ahmed
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟